নিউজ ডেস্ক, ডেইলি সুন্দরবনঃ খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি হাসপাতালে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৭ জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ জন এবং সদর হাসপাতালে ২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে খুলনার ৯ জন, নড়াইল জেলার ২ জন এবং বাগেরহাটের ৩ জন রয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে রোববার (৪ জুলাই) থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হয়নি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব এ সমস্যা দেখা দেওয়ায় সেখানেও নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়া ২ হাজার নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে তারও কোনো ফলাফল গত তিন দিনে পাওয়া যায়নি। খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা শনাক্ত রোগীদের চাপ। এই চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। সর্বশেষ ১৩০ শয্যার বিপরীতে ১৯৭ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। আইসিইউতে আছেন ২০ জন। এ ছাড়া সদর হাসপাতালে ৭০ শয্যা বিপরীতে আছেন ৭০ জন।
অন্যদিকে রুগীর চাপ বাড়ায় খুলনার বিশেষায়িত আবু নাসের হাসপাতালে শুরু হচ্ছে ৪৫ শয্যার করোনার চিকিৎসা ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে খুলনায় ২৪৫ জন রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন ঘোষণা দেয়া হলেও চতুর্থ দিনে খুলনার চিত্র একটু ভিন্ন দেখা যায়। প্রশাসন কঠোর ভুমিকা নিলেও মানুষের চলাফেরা গত তিন দিনের তুলনায় একটু বেড়েছে। কেও কেও অলিতে গলিতে বিনা কারণে ঘোরাফেরা করছে। প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে চলছে বেচাকেনা। সচেতন হওয়া ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার প্রতি আবেদন সচেতন মহলের।